ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮১১

নিহতদের বেশিরভাগই নোয়াখালীর 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৯ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের অনেকের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউয়িনের বিভিন্ন গ্রামে।

বৃহস্পতিবার সড়ক বিভাগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। মন্ত্রী জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবরাকে ১ লাখ ও আহতদের চিকিতসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, দোষীদের ছাড় দেয়া হবে না। 
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হতাহতদের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ স্বজনদের কোনো সন্ধানই পাচ্ছেন না। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাটেশ্বর ইউনিয়নের সাতজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া দিনরাজপুরের ৩ জন, শরিয়তপুরের ২জন রয়েছে। 

এরা হলেন, নাটেশ্বর ইউয়িনের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির সাহেব উল্যার ছেলে মাসুদ রানা ও রাজু, একই ইউনিয়নের বটতলির আব্দুল মুমিনের ছেলে সাহাদাত হোসেন হিরা, মির্জা নগরের আব্দুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং একই গ্রামের আব্দুল গউসের ছেলে নাছির উদ্দিন। নিহতদের পরিবার বিষয়টি জানিয়েছেন। এছাড়া আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, শুধু নাটেশ্বর ইউনিয়নের কয়েকশত লোক ঢাকার চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা করে। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে আরও অনেকে থাকতে পারে।

ঢামেক লাশের খোঁজ নিতে এসে ইলিয়াস আহমেদ জানালেন, চকবাজারে আগুনের ঘটনায় তার ভাইয়ের সঙ্গে মারা গেছেন—দুজন ডেন্টিস্ট, একজন এমবিবিএস ডাক্তার ও দুজন রোগী। তার ভাই কাওসারের চকবাজারে ‘মদিনা ফার্মেসি’ নামে ওষুধের দোকান ছিল। সেখানে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি ডাক্তাররা চিকিৎসেবা দিতেন।

গতকাল বুধবার রাতে আগুনের ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেছে। ভাই পুড়ে মারা যাওয়ার পাশাপাশি পুড়ে গেছে দোকান। দোকানে ১৮ থেকে ২০ লাখ মালামাল ছিল। আগুনে সব ছাই হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাত পৌনে ১টার দিকে পাশের কয়েকটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর